• Jeddah
  • Mon - Sat 8:00 - 18:00
Follow Us:

ওমরাহ পালনের ধাপ ও  হজ রেজিস্ট্রেশন করার ধাপসমূহ:

ওমরাহ্‌ ইসলামের একটি পবিত্র ইবাদত, যা কাবা শরীফের তাওয়াফ এবং নির্দিষ্ট কিছু আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়। হজের মতো ওমরাহ ফরজ নয়, তবে এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। ওমরাহ সারা বছর করা যায় এবং এটি সংক্ষিপ্ত আকারে পালন করা হয়। এখানে ওমরাহ পালনের ধাপগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

ওমরাহ পালনের ধাপসমূহ:

 ১. ইহরাম ধারণ করা:

ইহরাম ওমরাহর প্রথম ধাপ, যা নির্দিষ্ট পোশাক পরিধানের মাধ্যমে শুরু হয়। ইহরাম শুদ্ধভাবে ধারণ করার জন্য নিম্নলিখিত কিছু কাজ করতে হবে:

– ইহরাম গ্রহণের স্থান (মীকাত): 

মীকাত হলো একটি নির্দিষ্ট স্থান, যা পার হলে ইহরাম গ্রহণ না করে ওমরাহ করা যায় না। এই স্থানগুলো বিভিন্ন দিক থেকে মক্কার পথে অবস্থিত। আপনি যে দিক থেকে মক্কায় প্রবেশ করবেন, সেই অনুযায়ী মীকাত নির্ধারণ করতে হবে। মীকাতে পৌঁছানোর আগে আপনাকে ইহরাম ধারণ করতে হবে।

– ইহরামের পোশাক:

 পুরুষদের জন্য ইহরামের পোশাক হলো দুটি সাদা অর্ধখোলা চাদর; একটিতে শরীর ঢেকে রাখবেন এবং অন্যটি কোমরে বেঁধে রাখবেন। ইহরামে সেলাই করা কোনো কাপড় পরা নিষেধ। নারীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক নেই, তবে তাদের শরীর ঢেকে রাখা আবশ্যক এবং মুখ খোলা রাখতে হবে।

– ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ:

 ইহরাম ধারণের পর কিছু কাজ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যেমন, চুল বা নখ কাটা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, শিকার করা, পুরুষদের জন্য মাথা ঢেকে রাখা, নারীদের জন্য মুখ ঢেকে রাখা, এবং বিবাহ বা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা।

– নিয়ত ও তলবিয়া পাঠ করা: 

ইহরাম ধারণ করার সময় ওমরাহর নিয়ত করতে হবে। নিয়ত হলো ওমরাহ করার দৃঢ় সংকল্প। নিয়তের পরে তিনবার তলবিয়া পড়তে হবে:  

  “لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ عُمْرَةً”  

  অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি ওমরাহ করার জন্য হাজির হলাম।”

 ২. তাওয়াফ (কাবা শরীফের চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ):

মক্কায় পৌঁছে প্রথম কাজ হলো কাবা শরীফের তাওয়াফ করা। তাওয়াফ মানে কাবার চারপাশে সাতবার প্রদক্ষিণ করা। তাওয়াফের নিয়মগুলো হলো:

– হজরে আসওয়াদ স্পর্শ বা ইশারা করা:

 তাওয়াফ শুরু করার আগে, হজরে আসওয়াদ (কাবার কোণে অবস্থিত কালো পাথর) স্পর্শ করতে হবে। যদি স্পর্শ করা সম্ভব না হয়, তাহলে তার দিকে ইশারা করলেও চলবে।

– তাওয়াফের নিয়ম: 

কাবা শরীফের বাম দিকে রেখে সাতবার ঘোরা হয়। প্রতিটি চক্কর কাবার চারপাশে শেষ করলে এক চক্কর গণ্য হয়। প্রতিটি চক্কর শুরু করার সময় আপনি হজরে আসওয়াদ স্পর্শ বা ইশারা করতে পারেন।

– তাওয়াফের সময় দোয়া: 

তাওয়াফের সময় আপনি বিভিন্ন দোয়া বা যিকির পড়তে পারেন, যেমন “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার” ইত্যাদি। এছাড়া আপনি আপনার ব্যক্তিগত দোয়াও করতে পারেন।

 ৩. সাঈ (সাফা ও মারওয়ার মধ্যে দৌড়ানো বা হাঁটা):

তাওয়াফ শেষ করার পর, সাঈ করতে হবে। সাঈ হলো সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়ানো বা হাঁটা। এটি হজরত হাজেরা (আঃ) এর অনুসরণে পালন করা হয়। সাঈ পালনের ধাপগুলো হলো:

– সাফা থেকে শুরু: 

সাফা পাহাড়ের কাছে এসে আল্লাহর প্রশংসা এবং তাকবীর পড়া হয়, তারপর মারওয়ার দিকে যাত্রা করা হয়। এই পথে আপনি দোয়া বা যিকির করতে পারেন।

– সাফা থেকে মারওয়া:

 সাফা থেকে মারওয়া যাওয়া একটি চক্কর হিসেবে গণ্য হবে। এরপর মারওয়া থেকে সাফা ফিরে আসা হলে দ্বিতীয় চক্কর পূর্ণ হবে। এভাবে সাতবার করে সাঈ করতে হবে, যা সাফা থেকে শুরু হয়ে মারওয়ায় শেষ হবে।

 ৪. চুল কাটা (হালক বা কাসর):

সাঈ শেষ করার পর, আপনাকে ইহরাম থেকে মুক্ত হতে হলে চুল কাটতে হবে। পুরুষরা সম্পূর্ণ চুল মুণ্ডন করতে পারেন (হালক), অথবা চুল ছোট করতে পারেন (কাসর)। নারীদের জন্য সামান্য চুল কেটে (আঙ্গুলের পরিমাণ) হালক করতে হয়। চুল কাটার পর আপনি ইহরামের নিষিদ্ধ কাজগুলো আবার করতে পারবেন।

 ওমরাহ পালনের সংক্ষিপ্ত ধাপ:

১. ইহরাম ধারণ করা এবং তলবিয়া পড়া।

২. কাবা শরীফের তাওয়াফ করা।

৩. সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সাঈ করা।

৪. চুল কাটা এবং ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া।

 ওমরাহ পালনের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা:

– সকল কাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে করা: ওমরাহর প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করা উচিত।

– ধৈর্য এবং সংযম: ওমরাহ পালনের সময় ধৈর্যশীল এবং সংযমশীল থাকা জরুরি। কোনোভাবে তর্ক-বিতর্ক বা অন্যকে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

– পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: ইসলামে পরিচ্ছন্নতা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ইবাদতের সময়। তাই ইহরাম ধারণের আগে এবং তাওয়াফ বা সাঈ করার সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত।

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে ওমরাহ পালন করা যায়। ওমরাহ আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয় ইবাদত, যা মুসলিমদের আত্মিক এবং শারীরিকভাবে বিশুদ্ধ করে এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি সুযোগ।

হজের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হলে আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। বিভিন্ন দেশের সরকার ওমরাহ ও হজের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। এখানে হজ রেজিস্ট্রেশনের সাধারণ ধাপগুলো দেওয়া হলো:

Share This:

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2024, Made with Love by Noor Softs

Open chat
Hello,
I want to know more!