• Jeddah
  • Mon - Sat 8:00 - 18:00
Follow Us:

উমরাহ ও হজের মাঝে পার্থক্য

উমরাহ ও হজ ইসলামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই দুটি ইবাদতকে ঘিরে অনেক প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তি থাকে, বিশেষ করে পার্থক্যগুলো নিয়ে। যদিও উমরাহ এবং হজ উভয়ই আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা হয় এবং দুটি ইবাদতই পবিত্র মক্কা শরীফে সম্পন্ন হয়, তবে এগুলোর মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এখানে আমরা উমরাহ ও হজের পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করব। 

উমরাহ এবং হজের সংজ্ঞা:

প্রথমত, উমরাহ ও হজের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব বোঝা প্রয়োজন।

উমরাহ:

উমরাহ আরবি ভাষায় ‘জিয়ারত করা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। ইসলামের পরিভাষায়, এটি হচ্ছে এক ধরনের ইবাদত, যা মক্কার পবিত্র কাবা ঘরকে কেন্দ্র করে সম্পন্ন হয়। উমরাহ সম্পাদন করার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন এবং তাঁর গুনাহ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করেন। এটি আল্লাহর নির্দেশিত কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাধ্যতামূলক নয়, বরং সারা বছরই পালিত হতে পারে। উমরাহকে ‘ছোট হজ’ বা ‘হজ-এ-আসগার’ বলা হয়ে থাকে কারণ এটি হজের কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে, তবে হজের মতো বৃহৎ এবং পূর্ণাঙ্গ নয়।

হজ:

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি প্রতিটি সক্ষম মুসলিমের জীবনে একবার পালন করা ফরজ। হজ শব্দটি আরবি “কাসদ” থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘ভ্রমণ করা’ বা ‘সংগ্রহ করা’। ইসলামে হজের মূল অর্থ হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু আচার এবং সময়সীমার মধ্যে পবিত্র মক্কা শরীফ এবং আশেপাশের স্থানগুলোতে গমন করা এবং সেখানে নির্দিষ্ট ধর্মীয় আচার পালন করা। হজ আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং ঈমানের প্রকাশ এবং একত্ববাদের শপথ।

উমরাহ এবং হজের মূল পার্থক্য:

উমরাহ এবং হজের মধ্যে বেশ কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তুলে ধরা হলো।

১. বাধ্যতামূলকতা:

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি প্রত্যেক মুসলিমের ওপর ফরজ, যারা আর্থিক এবং শারীরিকভাবে সক্ষম। আল্লাহতায়ালা বলেন, “মানুষের মধ্যে যারা এর (কাবা) পর্যন্ত পৌঁছতে পারে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করা তাদের জন্য আবশ্যক।” (সূরা আলে ইমরান: ৯৭)। তবে, উমরাহ বাধ্যতামূলক নয়, এটি একটি ঐচ্ছিক ইবাদত। কেউ যদি একবার উমরাহ না করে মারা যান, তবে তার জন্য কোনো পাপের বিধান নেই। কিন্তু হজ আদায় না করে মারা গেলে, তা ইসলামের একটি প্রধান স্তম্ভ পালনের ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য হয়।

২. সময়কাল:

হজ পালন করার নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। প্রতি বছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে হজ পালন করতে হয়। এই নির্দিষ্ট দিনগুলোর মধ্যেই হজের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হয়, যেমন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাত্রিযাপন ইত্যাদি। উমরাহ পালনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। এটি সারা বছর যেকোনো সময় পালন করা যায়, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে রমজান মাসে উমরাহ করার ফজিলত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

৩. আনুষ্ঠানিকতা:

হজ এবং উমরাহ পালনের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে, তবে হজের আনুষ্ঠানিকতা উমরাহর তুলনায় বেশি এবং জটিল। উমরাহর মূল আনুষ্ঠানিকতা তিনটি: 

– ইহরাম: নির্দিষ্ট পোষাক পরে হালাল-হারামের কিছু সীমাবদ্ধতায় প্রবেশ করা।

– তাওয়াফ: কাবা ঘরের চারপাশে সাতবার প্রদক্ষিণ করা।

– সাঈ: সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়ানো বা হেঁটে চলা।

হজের আনুষ্ঠানিকতা উমরাহর চেয়ে অনেক বেশি। এতে তাওয়াফ এবং সাঈ ছাড়াও, হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো:

– আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা (যাকে হজের অন্তর্গত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচার হিসেবে ধরা হয়)।

– মুজদালিফায় অবস্থান করা।

– মিনায় গিয়ে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা (রামি)।

– কুরবানি করা।

– মাথা মুণ্ডন বা চুল কাটা।

৪. সময়সীমার সঙ্গে সম্পর্ক:

উমরাহ একটি স্বল্পমেয়াদী ইবাদত যা সাধারণত একদিন বা দুই দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। অন্যদিকে, হজ সম্পন্ন করতে সময় লাগে কমপক্ষে ৫ দিন, কারণ হজের আচারগুলি নির্দিষ্ট দিনে এবং সময়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। 

৫. ফজিলত:

উমরাহ করার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেন এবং তাঁর পূর্বের গুনাহসমূহ মাফ হতে পারে। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, “একটি উমরাহ আরেকটি উমরাহ পর্যন্ত যা ঘটেছে তা মাফ করার কারণ হয়।” (বুখারী, মুসলিম)। তবে, হজের ফজিলত অনেক বেশি এবং পরিপূর্ণ। নবী করিম (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করে এবং হজের বিধানাবলী যথাযথভাবে পালন করে, সে হজের পরে এমন অবস্থায় ফিরে আসে যেন তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে গেছে এবং সে সদ্যজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।” (বুখারী, মুসলিম)।

৬. স্থান:

উমরাহ পালনের ক্ষেত্রে মক্কার নির্দিষ্ট কিছু স্থানে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, যেমন কাবা ঘর, সাফা-মারওয়া পাহাড়। তবে, হজের ক্ষেত্রে মক্কার পাশাপাশি মিনায়, আরাফাতের ময়দানে এবং মুজদালিফায় যাওয়া বাধ্যতামূলক। হজের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান মক্কা ও আশেপাশের স্থানগুলিতে পালিত হয়।

৭. কুরবানি:

উমরাহ পালন করার জন্য কুরবানি দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তবে হজের সময় কুরবানি দেওয়া হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হজ পালনকারীকে মিনায় পশু কুরবানি করতে হয়, যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হিসেবে গণ্য হয়।

উমরাহ এবং হজের মূল উদ্দেশ্য:

উমরাহ এবং হজ উভয় ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা, গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া এবং নিজের ঈমান শক্তিশালী করা। উমরাহ পালনের মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারে এবং তাঁর কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে। হজ পালনের মাধ্যমে মুসলিম জাতির ঐক্য, তাওহীদ ও আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্যের প্রকাশ ঘটে।

তবে হজ শুধু একটি ব্যক্তিগত ইবাদত নয়, এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক অনেক দিক নিয়ে কাজ করে। হজের সময় পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসলিমদের একত্রিত করে, যা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির প্রতীক।

হজের শর্ত সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো। 

হ্যাঁ, হজ পালনের জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। হজ প্রত্যেক মুসলিমের জীবনে একবার পালন করা ফরজ (বাধ্যতামূলক), তবে এ জন্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। এই শর্তগুলো পূরণ না হলে, হজ ফরজ হয় না। নিচে হজের শর্তগুলো তুলে ধরা হলো:

 ১. ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা:

হজ শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য ফরজ। অমুসলিমদের জন্য হজ পালনের কোনো বিধান নেই। একজন ব্যক্তি মুসলিম না হলে তার ওপর হজ ফরজ হয় না।

 ২. বয়ঃপ্রাপ্ত (প্রাপ্তবয়স্ক) হওয়া:

হজ ফরজ হওয়ার জন্য ব্যক্তির প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া আবশ্যক। ইসলামে বয়ঃসন্ধি বা বালেগ হওয়ার বয়স থেকে একজন মুসলিমকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে গণ্য করা হয়। যে শিশু এখনো প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি, তার ওপর হজ ফরজ নয়। তবে একজন শিশু যদি হজ করে, তাহলে তা নফল হজ হিসেবে গণ্য হবে, এবং প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাকে আবার ফরজ হজ করতে হবে।

 ৩. বুদ্ধি ও জ্ঞানসম্পন্ন (আকিল হওয়া):

যে ব্যক্তি মানসিকভাবে সুস্থ এবং বুদ্ধি ও জ্ঞানসম্পন্ন, তার ওপর হজ ফরজ। যে ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন, তার ওপর হজ ফরজ নয়, কারণ সে শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম নয়।

 ৪. শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা:

হজ পালনের জন্য ব্যক্তির শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম হওয়া জরুরি। এই সক্ষমতা দুটি দিক থেকে বিবেচনা করা হয়:

– শারীরিক সক্ষমতা: ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ ও হজ পালনের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হতে হবে। যারা শারীরিকভাবে অক্ষম বা অসুস্থ, তাদের ওপর হজ ফরজ নয়। তবে, যদি কেউ শারীরিকভাবে অক্ষম হন এবং তার আর্থিক সামর্থ্য থাকে, তাহলে তিনি অন্য কাউকে নিজের পক্ষ থেকে হজ করতে পাঠাতে পারেন। একে *হজে বদল* বলা হয়।

– আর্থিক সক্ষমতা: হজ পালনের জন্য ব্যক্তি আর্থিকভাবে সক্ষম হতে হবে। অর্থাৎ, তার নিজ পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পরও হজ পালনের খরচ বহন করার মতো অর্থ থাকতে হবে। এ ছাড়া যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা এবং হজের সময় প্রয়োজনীয় খরচগুলো নির্বাহ করার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ থাকতে হবে। হজ পালনের পর ব্যক্তি ও তার পরিবার যেন অভাবগ্রস্ত না হয়, সেটাও শর্ত।

৫. মাহরাম থাকা (মহিলাদের জন্য):

নারীদের জন্য একটি অতিরিক্ত শর্ত হলো, তাদের মাহরাম (স্বামী বা এমন পুরুষ আত্মীয় যার সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়, যেমন বাবা, ভাই, চাচা) থাকা আবশ্যক। নারীরা একাকী হজে যেতে পারেন না। যদি কোনো নারীর সঙ্গে মাহরাম না থাকে, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ নয়। তবে এই শর্ত শুধুমাত্র নিরাপত্তার জন্য, এবং এটি বিভিন্ন মতামত ও ফিকহ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।

 ৬. সুরক্ষিত ও নিরাপদ পথ:

হজ পালনের সময় যাতায়াতের পথ নিরাপদ হওয়া আবশ্যক। যদি কোনো ব্যক্তি জানমালের হুমকি বা যুদ্ধ-বিগ্রহের মতো বিপদে থাকে এবং হজ পালনের যাত্রাপথ নিরাপদ না হয়, তাহলে তার ওপর হজ ফরজ হয় না। নিরাপদ পথের শর্ত মূলত একজন হজযাত্রীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য দেওয়া হয়েছে।

হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম এবং প্রত্যেক সক্ষম মুসলিমের জীবনে একবার পালন করা ফরজ। তবে এটি সবার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। হজ ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, এবং এসব শর্ত পূরণ করলে হজ ফরজ হয়। অন্যদিকে, কিছু মানুষ আছেন যাদের জন্য হজ ওয়াজিব হয়, তবে তাদের ক্ষেত্রে ফরজের মতো কঠোর বাধ্যবাধকতা নেই। এই প্রবন্ধে হজ কার জন্য ফরজ এবং কার জন্য ওয়াজিব, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

হজ কার জন্য ফরজ নয়:

যাদের ওপর হজ ফরজ নয়, তাদের মধ্যে আছেন:

– অমুসলিম: হজ একটি ইসলামী ইবাদত, তাই অমুসলিমদের ওপর হজ ফরজ নয়।

প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া: শিশুদের ওপর হজ ফরজ নয়, তবে তারা নফল হজ করতে পারে।

– মানসিকভাবে অক্ষম: মানসিকভাবে অক্ষম বা পাগল ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ নয়।

– অর্থনৈতিকভাবে অক্ষম: যাদের কাছে হজের খরচ বহন করার মতো অর্থ নেই, তাদের ওপর হজ ফরজ নয়।

– শারীরিকভাবে অক্ষম: যেসব ব্যক্তি শারীরিকভাবে হজ পালনে সক্ষম নন, তাদের ওপর হজ ফরজ নয়।

হজ কার জন্য ওয়াজিব:

ওয়াজিব এমন ইবাদত, যা ফরজের পরে আসে। ফরজের মতো ওয়াজিবও পালন করা আবশ্যক, তবে এর বিধান কিছুটা শিথিল। হজের ক্ষেত্রে কিছু পরিস্থিতিতে হজ ওয়াজিব হতে পারে, যদিও তা ফরজ নয়।

১. আর্থিক সামর্থ্য অর্জিত হলে:

যদি কোনো ব্যক্তি তার জীবনের এক পর্যায়ে হজ পালনের আর্থিক সামর্থ্য অর্জন করে, তবে তার ওপর হজ ওয়াজিব হয়ে যায়। অর্থাৎ, সে হজ পালনের শর্ত পূরণ করে এবং তার ওপর দায়িত্ব আরোপিত হয়। এক্ষেত্রে, হজ পালন না করলে সে পাপী বলে গণ্য হবে।

২. প্রাপ্তবয়স্ক হলে:

যদি একজন ব্যক্তি শিশু অবস্থায় হজ করে থাকে, তবে তার প্রাপ্তবয়স্ক হলে হজ পুনরায় পালন করা ওয়াজিব হবে। কারণ শিশু অবস্থায় হজ পালন করলে তা নফল হিসেবে গণ্য হয়, ফরজ হিসেবে নয়।

৩. নিশ্চিত নিরাপত্তা পেলে:

যদি কোনো ব্যক্তি আগে নিরাপত্তার কারণে হজ করতে না পারে, কিন্তু পরবর্তীতে যদি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পায়, তাহলে তার ওপর হজ ওয়াজিব হয়ে যায়। অর্থাৎ, নিরাপদ পরিবেশ পাওয়া গেলে হজ পালন করতে হবে।

৪. মহিলাদের ক্ষেত্রে মাহরাম পাওয়া গেলে:

যদি কোনো নারী আগে মাহরাম না থাকায় হজ করতে না পারে, তবে পরবর্তীতে মাহরাম পাওয়ার পর তার ওপর হজ ওয়াজিব হয়ে যায়। 

উপসংহার:

হজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, এবং এটি প্রত্যেক সক্ষম মুসলিমের জন্য জীবনে একবার ফরজ। তবে, হজ ফরজ হওয়ার শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। শর্তগুলো পূরণ না হলে হজ ফরজ হয় না। যাদের জন্য হজ ফরজ, তারা শর্ত পূরণের পর অবিলম্বে হজ পালন করতে বাধ্য। অন্যদিকে, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে হজ ওয়াজিব হতে পারে, যেখানে শর্ত পূরণ হয় না, কিন্তু পরবর্তীতে শর্ত পূরণ হলে তা পালন করতে হয়।

হজের এই বিধানগুলো ইসলামের বিশ্বব্যাপী ঐক্য এবং ন্যায়বিচারের প্রতীক, যা প্রত্যেক মুসলিমকে আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের মহান দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করে।

এই শর্তগুলো পূরণ হলে একজন মুসলিমের ওপর হজ ফরজ হয়। যিনি এসব শর্ত পূরণ করেন না, তার জন্য হজ ফরজ নয়, তবে তিনি চাইলে নফল হিসেবে হজ করতে পারেন।

Share This:

Leave Your Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2024, Made with Love by Noor Softs

Open chat
Hello,
I want to know more!